মৌসুমি ঝড়ে বিপর্যস্ত আটলান্টিক সিটির জনজীবন


এবিএনএ : মৌসুমি ঝড় ‘এসটেলা’র প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আটলান্টিক সিটির জনজীবন। গত সোমবার রাতে শুরু হওয়া ঝোড়ো হওয়া ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে তুষারপাত হয়নি।
পূর্ণচন্দ্রের কারণে আটলান্টিক মহাসাগর উত্তাল রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সিটির স্কুল-কলেজ আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সকাল থেকে গণপরিবহন ছিল বন্ধ। ক্যাসিনোগুলোতে লোকজন কমে যায় আশঙ্কাজনকভাবে। গ্রোসারিগুলো ছিল প্রায় ক্রেতাশূন্য। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই কর্মস্থলে যেতে পারেননি। তাঁদের অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িতে অলস সময় কাটিয়েছেন। ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের খাবারের মেন্যুতে ছিল পরিবর্তন। খিচুড়ি, ইলিশ ভাজা ছিল প্রাধান্যে। আটলান্টিক সিটি স্কুলের দশম গ্রেডের ছাত্রী আঁচল সেনগুপ্ত বলে, ‘বাড়তি এক দিন স্কুল বন্ধ পেয়ে আমি খুশি। কারণ, পড়ালেখার চাপ না থাকায় আজ সারা দিন আমি স্বাধীন।’
চেলসি হাইটসের প্রবাসী শিপ্রা দাশ জানান, প্রবাসে হাড়ভাঙা খাটুনির মাঝে অপ্রত্যাশিত ছুটি পাওয়ায় তিনি খুশি। পরিবারের সবার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন।
চেলসি ভিলেজে বসবাসকারী লেখক ও সংস্কৃতিসেবী অজিতাভ চক্রবর্তী ও গৃহিণী রীতিকণা চক্রবর্তী জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ছেলেদের স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়তি একটা ‘ফ্যামিলি গেট টুগেদারের’ সুযোগ হয়েছে। খাবার মেনুতে যোগ করা হয়েছে পছন্দের হরেক রকমের খাবার।
কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আমিরুল ইসলাম টফি জানান, জলাবদ্ধতার কারণে বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। ঘর থেকে বের হওয়ায় দায় হওয়ায় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
চেলসি হাইটসের গৃহিণী লাকী চৌধুরীও এসটেলার ‘কল্যাণে’ ছুটি পাওয়ায় খুশি। ঢাকা গ্রোসারির বিক্রয় কর্মকর্তা অসিত সাহা বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দোকানে বেচা-বিক্রি নেই বললেই চলে।