এবিএনএ: বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটের আদালতে এসব মামলা দায়ের হয়। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন ছুটিতে থাকায় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।
এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশ্লীল বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসকে এম তোফায়েল হাসানের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার। মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে সিলেটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন সিলেট বারের আইনজীবী তানভীর আক্তার খান।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য তানভীর আক্তার খান বাদী হয়ে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৭, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করেছেন। ৬০-৭০ জন আইনজীবীর উপস্থিতিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত আগামী ১৫ তারিখ আদেশ দেবেন মর্মে মামলা গ্রহণ করেছেন।’ এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কানাডায় ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর মুরাদ হাসান দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। তবে জানা যাচ্ছে, দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই তার। তাই রোববার বিকেলে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এ ছাড়া তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে। এছাড়া ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় নানা সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মুরাদ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান। মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।