এ বি এন এ : একাত্তররে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নতো মীর কাসমে আলীর মৃত্যুদণ্ড র্কাযকরে সন্তোষ জানয়িছেনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদশেরিা।
এই খবর পাওয়ার পর অনেকে ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ফোবানার তিন দিনব্যাপী কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী নেতাদের অনেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টিভিতে সংবাদটি দেখার পর উল্লাসে ফেটে পড়েন।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও নিউ জার্সির কাউন্সিলম্যান ড. নূরুন্নবী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “বিশ্বের ক্ষমতাবানদের অনুরোধ আর প্রচ্ছন্ন হুমকির কাছে নতি স্বীকার না করে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার পরিপূরকভাবে আইসিটি প্রদত্ত রায় যথাযথভাবে কার্যকর করার সৎ সাহস দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজের অবস্থানকে আরও মহিমান্বিত করলেন।”
ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান নূরুন্নবী একাত্তরের সব ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে সব বাংলাদেশিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
ফোবানার আউটস্ট্যান্ডিং মেম্বার এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, “টাকার বস্তা নিয়ে তদ্বির করেছিল মীর কাসেম আলী। নিউ ইয়র্কে বেশ কটি মিডিয়া পরিচালিত হচ্ছে আল বদর মীর কাসেমের অর্থে। এখন সময় এসেছে ওই সব মিডিয়াকেও চিহ্নিত করার।”
ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফোবানার নেতা এম জহির বলেন, “আরও অনেক ঘাতক রয়েছে। সবগুলোর বিচার না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “একাত্তরের ঘাতক মীর কাসেমের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় কার্যকর করার ব্যাপারটি অনেকের কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় কোন বাধা-বিপত্তি রায় বাস্তবায়িত করতে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।”
যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরনবী বলেন, “মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কলংক মোচনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি সাফল্য অর্জিত হল।”
চট্টগ্রামের সন্তান ও ডেমক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটির সদস্য খোরশেদ খন্দকার এক বিবৃতিতে বলেন, “মীর কাসেমের নৃশংসতার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রামের অনেকে। ডালিম হোটেলে এই ঘাতকের নেতৃত্বে কতশত বাঙালির রক্ত ঝরেছে। আজ সে সব শহীদী আত্মার শান্তি পাবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নজমুল ইসলাম বলেন, “চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে মীর কাসেমসহ বর্তমানে পলাতক জামায়াতের আরেক আইনজীবীর নামোল্লেখ করে আমি দেড় দশক আগে থেকে যে সব তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশ করেছিলাম, তার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে আইসিটিতে। মীর কাসেমের মতো পলাতক ওই আলবদর সদস্যেরও শাস্তি হবে বলে আশা করছি।”