এবিএনএ: অবশেষে ভারতের পার্লামেন্টেও বাতিল হলো বিতর্কিত কৃষি আইন। গতকাল সোমবার সকালে পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল’ কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিরোধী আইনপ্রণেতাদের হট্টোগোল ও প্রচন্ড হইচইয়ের মধ্যে বিলটি বাতিল হয়। খবর এনডিটিভি।
বিজেপি সরকারের পাস করা তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে হাজার হাজার কৃষক রাজধানী দিল্লির সীমান্তে রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করে আসছে। অনেক ত্যাগ, অনেক কষ্ট সহ্য করে তারা রাজপথ আঁকড়ে থেকেছেন। শীত, বর্ষা, মহামারী কোনোটিই রাজপথ থেকে তাদের হটাতে পারেনি। সেই আন্দোলনের ফল তারা হাতে পেয়েছেন। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরও রাজপথ ছাড়েনি আন্দোলনরত কৃষকরা। মোদির ঘোষণার ধারাবাহিকতায় গতকাল লোকসভায় বিলটি বাতিল হলো। খবরে বলা হয়, কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে সোমবার সকালে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীদলীয় আইন প্রণেতারা। একপর্যায়ে ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ করেন তারা। ওই পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের অধিবেশন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করেন স্পিকার। এর পর ১২টায় অধিবেশন ফের শুরু হলে ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল-২০২১’ উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। কণ্ঠভোটে সঙ্গে সঙ্গেই সেটি পাস হয়ে যায়। অন্যদিকে বিরোধীরা কৃষি আইনের ওপর আলোচনার যে দাবি করেছিল, তা খারিজ করে দেয় সরকারপক্ষ।
কৃষকদের দাবি ছিল, পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার তিনটি কৃষি আইন বিল পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে বলে কৃষিমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন কৃষকরা।