এ বি এন এ : টেলিযোগাযোগ নির্ভর বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বন্ধে সরকার প্রি-একটিভেটেড সিমের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি শক্ত অবস্থান নিতে যাচ্ছে। সরকার এবার এসব প্রাক-সক্রিয় সিমের দিকে নজর দিচ্ছে এবং সে অনুযায়ী এই বিপুল সংখ্যক প্রি-একটিভেটেড সিম বাজেয়াপ্ত করতে যাচ্ছে। কারণ ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের পর এ সকল সিম আর বাজারে পাওয়ার কথা ছিল না। এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম প্রি-একটিভেটেড সিমের ব্যাপারে মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশে বলেন, এসব সিম বাজারে পাওয়ার ব্যাপরে আগামী সপ্তাহ থেকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে সিম প্রতি অপারেটর প্রতিষ্ঠানকে ৫০ ডলার জরিমানার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনোভাবেই হোক প্রি-একটিভেটেড সিমের ব্যবহার আমি বন্ধ করবই। তিনি বলেন, দেশের মানুষ সিমগুলোর মালিক হিসেবে বাধাবিপত্তির পরও স্থায়ীভাবে বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে এ কার্যক্রম বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। গত বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এ বছর ৩১ মে দেশের সকল সিমের বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ টলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী দেশের ছয়টি মোবাই কোম্পানীর মোট ১৩ কোটি ১৩ লক্ষ গ্রাহক রয়েছে। ইতিমধ্যে কমিশন সিম বিক্রেতা ও বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে বিস্তারীত তথ্য সংগ্রহ করেছে। সম্প্রতি বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্নের পর গত ৮ জুন পুলিশের এক অভিযানে রাজধানী থেকে প্রি-একটিভেটেড সিম বিক্রির অভিযোগে সাত জন বিক্রতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এ ধরনের ১৩টি সিম জব্দ করা হয়। এসব সিম অন্যের নামে নিবন্ধন করে বিক্রি করা হচ্ছিল। অপরদিকে গত ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় ডিবির অভিযানে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা প্রায় ৪ হাজার প্রি-একটিভেটেড সিমসহ সাতজনকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (কমিউনিকেশন এন্ড কর্পোরেট রেস্পন্সিবিলিটি) ইকরাম কবির বাসসকে বলেন, এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি থেকে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা কাজ করার জন্য অপেক্ষ করছি।