
লিভা ইয়াসমিন, এবিএনএ : নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি উত্তরপাড়ায় আশা সমিতি ও মটরসাইকেলের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে অভিমানে এক সন্তানের জননী রেবেকা বেগম মিতু(২৩) ঘরের আড়ার সাথে ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিরোমণি উত্তর পাড়ার আব্দুর জব্বারের পুত্র সোহাগ হোসেন মাসিক কিস্তিতে একটি মটরসাইকেল ক্রয় করে একই সাথে তার স্ত্রী মিতুর নামে আশা সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে একটি সিএসজি কেনে। রবিবার সকালে মটরসাইলের শো রুম থেকে তাদের মাসিক কিস্তির ৫ হাজার টাকা এবং আশা সমিতির মাসিক কিন্তির সাড়ে ৮ হাজার টাকা নিতে আসে। সোহাগের স্ত্রী মিতু তাদেরকে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তারা সোমবার দিন এসে টাকা না দিয়ে গাড়ী নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করে বিভিন্ন ধরণের কথাবার্তা বলে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে রাতে সোহাগ ও সোহাগের মা’র সাথে মিতুর কথা কাটাকাটি হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সোহাগ গাড়ী( সিএনজি ) নিয়ে বেরিয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় সোহাগ আবার বাড়ীতে ফিরে এসে দেখে ঘরের ভিতর থেকে দর্জা দেওয়া। দর্জার ফাঁক দিয়ে উকি দিয়ে দেখে তার স্ত্রী মিতু ঘরের আড়ার সাথে ওরনা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। তার চিৎকারে পার্শবর্তিরা এসে ঘরের দর্জা ভেঙ্গে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। খানজাহান আলী থানা পুলিশসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। উল্লেখ্য সোহাগ হোসেন ৪/৫ বছর আগে মিতু’র সাথে সম্পর্ক করে বিবাহ করে। মিতুর বাড়ী পটুয়াখালি তার হাবিবুল্লাহ নামের একটি চার বছররের পুত্র সন্তান আছে।
Share this content: