এবিএনএ : দশম জাতীয় সংসদের ১০ম অধিবেশন আগামীকাল বিকাল ৫টায় শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ৩০ মার্চ এ অধিবেশন আহবান করেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এক অধিবেশন সমাপ্ত হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন বসতে হবে। এ জন্যই এ অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, এ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হতে পারে। আগামীকাল বিকালে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সভায় দশম অধিবেশনের কার্যক্রম ও মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে। কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন। সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, সংসদের দশম অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হলেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল উত্থাপন ও পাস হতে পারে। সংসদের আইন শাখা থেকে জানানো হয়, আজ পর্যন্ত দশম অধিবেশনের জন্য নতুন ৬টি বিল জমা পড়েছে। এছাড়া পুরানো বিল রয়েছে ২০টা। অধিবেশন চলাকালে আরো কয়েকটি নতুন বিল আইন শাখায় জমা হতে পারে।
এছাড়া সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির বিভিন্ন ধারায় সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ ইস্য নিয়ে আনীত নোটিশের ওপর আলোচনা হতে পারে। এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শেষ হয়। গত ২০ জানুয়ারি ওই অধিবেশন শুরুর দিন বছরের প্রথম অধিবেশন হিসাবে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন। মোট ২৭ কার্যদিবসের নবম অধিবেশনে ৯টি সরকারি বিল পাস হয়। এছাড়া ওই অধিবেশনে আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ২৮৫টি নোটিশের মধ্যে ১৫টি নোটিশ গৃহীত হয় এবং গৃহীত নোটিশের মধ্যে ৩টি সংসদে আলোচিত হয়। ৭১(ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিশের সংখ্যা ছিল ৬০টি। এছাড়া নবম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরদানের জন্য সর্বমোট ৩শ’টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনি ৮৯টি প্রশ্নের উত্তর দেন। মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য ৪ হাজার ৯২২টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৩ হাজার ৪৪৪টির উত্তর দেয়া হয়।