এ বি এন এ : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হারুন অর রশিদকে আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে অসমাপ্ত জেরা পিছিয়ে আগামী ১৯ মে পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে হারুন অর রশিদকে তারেক রহমানের পক্ষে তৃতীয় দিনের মতো জেরার দিন ধার্য ছিল। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন জানান অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। এ আবেদন মঞ্জুর করে দিন ১৯ মে পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত।
গত ২৮ এপ্রিল প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে হারুন অর রশিদকে জেরা শেষ করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান। এরপর তারেকের পক্ষে জেরা শুরু করেছিলেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া-তারেকসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য চার আসামি হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক, বাকিরা জামিনে আছেন। বৃহস্পতিবার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিতির বিষয়ে সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবী। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল আদালতে হাজির ছিলেন। ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ অনুপস্থিত থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানান।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলায় আগামী ১৯ মে খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট ৮ আসামির বিরুদ্ধে পৃথক পৃথকভাবে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়।