এ বি এন এ : সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জনগণ এখন এই সামাজিক ব্যাধিকে ‘না’ বলছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গুইয়েন কোয়াং থু’ এর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনামকে মহান রাষ্ট্র উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম দুটি দেশের ইতিহাসই একই সূত্রে গাঁথা, দুটি দেশই সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদিও স্বাধীনতা অর্জনের সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আমরা জাতির পিতাকে হারিয়ে ফেলি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর পর তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে এবং তারপর থেকেই দেশের উন্নয়নে, বিশেষ করে জনসাধারণকে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমাদের একটি বৃহৎ বাজার রয়েছে এবং আমাদেরকে তা কাজে লাগাতে হবে।’ দুই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী এ সময় কানেকটিভিটি জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
দুই দেশের সম্পর্ককে আরো জোরদার করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সফর বিনিময়ের বিষয়ে জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০১২ সালে তার ভিয়েতনাম সফরের কথা স্মরণ করে এই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটির উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তার গতিশীল নেতৃত্বেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সফল ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’
গুইয়েন কোয়াং বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে বহুদিন যাবত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে উল্লেখ করে তার দায়িত্ব পালনকালে সব রকমের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।