তৃষ্ণার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক, গোলবন্যায় ভেসে গেল তিমুর—৮-০ গোলের বিশাল জয় বাংলাদেশের
অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বাংলাদেশ দলের, তিমুর লেস্তেকে উড়িয়ে দিল ৮-০ গোলে।


এবিএনএ: এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেই পূর্ব তিমুরকে গোলের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে বাটলারের শিষ্যরা। পুরো ম্যাচজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে তারা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ৮ বার। হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা রানী, অলিম্পিক গোল করেন শান্তি মার্ডি।
লাওসের ভিয়েনতিয়েনে ‘নিও লাওস স্টেডিয়াম’-এ শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে নামে বাংলাদেশ। ২০ মিনিটে কর্নার থেকে সিনহা জাহান শিখার হেডে আসে প্রথম গোল। ৩২ মিনিটে শান্তি মার্ডি কর্নার থেকে সরাসরি গোল করে দর্শকদের চমকে দেন—এটাই তার অলিম্পিক গোল।
এরপর ৩৬ মিনিটে শান্তির আরেকটি কর্নার থেকে গোল করেন নবিরন খাতুন। প্রথমার্ধের শেষ সময়ে তৃষ্ণা রানীর নিখুঁত শটে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০। বিরতির পরও একই ছন্দে খেলে বাংলাদেশ।
৫৭ মিনিটে তৃষ্ণা নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। এরপর সাগরিকা ৭৩ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় জালে বল পাঠান। ৮৩ মিনিটে সাগরিকার পাস থেকেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা রানী। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে স্কোর ৮-০ করেন মুনকি আক্তার।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১০৪ নম্বরে, আর তিমুর লেস্তে ১৫৮ তম। দুই দলের পারফরম্যান্সেও সেই ব্যবধান স্পষ্ট। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সাগরিকা করেছিলেন দুই গোল, মুনকি আক্তার করেছিলেন একটি।
দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। ১০ আগস্ট বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। সেই ম্যাচই নির্ধারণ করবে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন কে হবে।
বাছাইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দল এবং সেরা তিনটি রানার্স-আপ জায়গা করে নেবে মূল পর্বে।