

এবিএনএ : মুক্তিযোদ্ধা ও আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফের মরদেহকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। মঙ্গলবার শহীদ মিনারে সব শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
নিউইয়র্ক থেকে মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টায় কাজী আরিফের মৃতদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছায়। সেখান থেকে ১১টা ৪৫ মিনিটে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর উপস্থিতিতে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে পুলিশের একটি চৌকস দল।
নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাজী আরিফ। বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করেন। পেশায় স্থপতি কাজী আরিফের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার স্ত্রী প্রজ্ঞা লাবণীও একজন আবৃত্তি শিল্পী। দুই মেয়ে রয়েছে তাদের। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কাজী আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
কাজী আরিফের জন্ম ১৯৫২ সালের ৩১ অক্টোবর, রাজবাড়ীতে। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম শহরে। পড়াশোনা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য এসব কিছুরই হাতেখড়ি হয় সেখানে। আবৃত্তির পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তিনি। ১৯৭১ সালে ১ নম্বর সেক্টরের মেজর রফিকুল ইসলামের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর যুদ্ধ শেষে বুয়েটে লেখাপড়া শুরু করেন আর সাথে সমান তালে এগিয়ে যেতে থাকে তার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা। তিনি বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পের অন্যতম রূপকার।