এবিএনএ : জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেছেন, নব্বইয়ের পর কোনো সরকারই আমার সঙ্গে সুবিচার করেনি। সবাই আমাকে শৃঙ্খলের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে চায়। আমার হাত-পা বাঁধা। কিন্তু এবার সকল শৃঙ্খলের দড়ি আমি ছিড়ে ফেলবো।
বুধবার বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপা আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, দেশের কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জনগণের ভোটের অধিকারও লুণ্ঠিত হচ্ছে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে সহাবস্থান নেই, একে অপরকে প্রতিপক্ষ মনে করি। এভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চলতে পারে না।
তিনি বলেন, আমার শাসনামলে মানুষের মাঝে এই হাহাকার ও সংশয় ছিল না। তাই মানুষ আবার জাপার শাসনামলে ফিরে যেতে চায়। জাপা আগামীতে এককভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় গিয়ে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘তোমরা শক্তি অর্জন কর, কারণ দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না। আল্লাহই আমাকে স্বাধীন করবেন, আমি তোমাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। আমি ভালো আছি। জাতি এখন তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। গ্রাম-গঞ্জে, শহর-বন্দরে, হাট-বাজারে গেলে মানুষ আমাকে বলে-আমরা আবার আপনাকে চাই।’
সভায় দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাপা অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। অত্যাচার নির্যাতন করে এ দলকে আটকে রাখা যাবে না।
সভায় সভাপতিত্বকারী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদ এখনও বড় ফ্যাক্টর। তার সমর্থন ছাড়া আগেও কেউ সরকার গঠন করতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না, মামলা দিয়ে তাকে আটকে রাখা যাবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেলের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, শেখ সিরাজুল ইসলাম, এসএম ফয়সল চিশতি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ ও হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু ও যুবসংহতির আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ।
