এ বি এন এ : ‘প্রতিদিন একটির বেশি কলড্রপ হলে দ্বিতীয় মিনিট থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহকরা। দ্বিতীয় মিনিট থেকে একটি কলড্রপের বিপরীতে আগামী জুন থেকে গ্রাহকদের এক মিনিট করে কল ফেরত দেওয়া হবে।
রোববার (১৫ মে) সচিবালয়ে কলড্রপ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তারানা হালিম বলেন, নেটওয়ার্ক এবং কলড্রপের সমস্যার সমাধান করা আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কলড্রপের বিষয়ে আইটিইউ’র (আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন) নির্ধারিত মান আছে, সেটি পরবর্তী সংখ্যাগুলো কলড্রপ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিটিআরসি একটি টিম গঠন করে অপারেটরদের সহযোগিতায় তাদের সিস্টেম চেক করে দেখবেন এবং প্রতিদিন একটির বেশি কলড্রপ হলে একটির বিপরীতে গ্রাহককে এক মিনিট কল ফেরত দিতে হবে। গ্রাহককে এসএসএসের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে কল ফেরত দেওয়া হলো।
আইটিইউ’র মান অনুযায়ী একশ’টির মধ্যে তিনটি কলড্রপ হওয়া স্বাভাবিক।
তারানা হালিম বলেন, কলড্রপ সমস্যা বড় সমস্যা, এজন্য গ্রাহককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, এই ভোগান্তি থেকে গ্রাহককে উদ্ধার করতে চাই। প্রতিদিন একবারের বেশি কলড্রপ হলে একটির বিপরীতে এক মিনিট ফেরত দেওয়া হবে। পাঁচটি হলে চারটি কল ফেরত পাবেন গ্রাহকরা।
ক্ষতিপূরণ কবে নাগাদ কার্যকর হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজেদেরও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে, কলড্রপ আইটিইউ নির্ধারিত মানের মধ্যে আছে, এটা মনে করি না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে মনে করি কলড্রপটা আইটিইউ’র থেকে বর্ধিত হয়েছে।
‘আশা করি আগামী ১ জুন থেকে এই বিষয়টা (ক্ষতিপূরণ) কার্যকর করতে পারবো।’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
কলড্রপের বিষয়টি যাচাই বাছাই করার জন্য বিটিআরসিতে কিউএস (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) ইক্যুপমেন্ট কেনার পদক্ষেপ শুরু হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, আশা করছি দু’মাসের মধ্যই ইক্যুপমেন্ট বাস্তবায়ন করতে পারবো এবং মানগুলো যাচাই বাছাই করা সম্ভব হবে।
জুনের মধ্যে অপটিক্যাল ফাইবারের কাজ শেষ হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়াল্র্ড ইকোনমিক ফোরাম থেকে অপটিক্যাল ফাইবার মেইনটেন্যান্স এবং বিস্তৃত করার জন্য তারা অর্থায়নে আগ্রহী।
এ বিষয়ে জুলাইয়ে ভারতের দিল্লীতে বৈঠকের পর তারা ঢাকা এসে বৈঠক করবেন।
এর মাধ্যমে সেবার মান উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্কের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান আহসানি হাবিব খান এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।