
এবিএনএ : বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। সকালে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার সমাধিতে ফুল দেন দলের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে রাজশাহীতে শ্রদ্ধা জানানো হয় অপর নেতার সমাধিতে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার পরিচালনায় অসামান্য দক্ষতা দেখিয়েছিলেন এই চার জন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর দেশ গঠনেও তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর চার নেতাকে সরকারে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দেয় সে সময়ের ক্ষমতা দখলকারী মুশতাক আহমেদ। কিন্তু চারজন সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর তাদেরকে আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি করা হয়।
৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীতে আরও এক দফা অভ্যুত্থানে মুশতাক আহমেদ ক্ষমতা হারালেও বঙ্গবন্ধু হত্যা জড়িত সেনা সদস্যদের একটি অংশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি চার নেতাকে হত্যা করে।
প্রতি বছর ৩ নভেম্বর এই চার নেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা বনানী কবরস্থান এবং রাজশাহীতে জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধা জানায়।
বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি, এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সাহারা খাতুন, ফারুক খান, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, আফজাল হোসেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মী বনানী কবরস্থানে গিয়ে জাতীয় তিন নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেয় দলটির নেতাকর্মীরা। তারা জাতীয় চার নেতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেন।
এর আগে দিবসটি স্মরণে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দলীয় সভানেত্রী হিসেবে নেতাকর্মীদের নিয়ে আবারো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে বেলা তিনটায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Share this content: