জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

আমার ছেলে নির্দোষ, তাকে বাঁচতে দিন: সম্রাটের মা

এবিএনএ: ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মা সায়েদা চৌধুরী বলেছেন, তার ছেলে ক্যাসিনোর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল না। সম্রাট শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিল। সব সমাবেশ সফল করতে সম্রাট সবসময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে তার ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সম্রাটের মা সায়েদা চৌধুরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যটি পড়েন সম্রাটের বোন ফারহানা আক্তার চৌধুরী। ছেলের মুক্তি দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সম্রাটের মা বলেন, কোনো ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা করে দিন। আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাকে বাঁচতে দিন।

সম্রাটের শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘১৯৯৯ সালে বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর অধীনে সম্রাটের ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়। তখন থেকে সম্রাট আজ পর্যন্ত অসুস্থ শরীর নিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর সম্রাটের ভালভ প্রতিস্থাপন করার কথা ছিল সিঙ্গাপুরে। কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও রক্তদান কর্মসূচি থাকায় সিঙ্গাপুরে যাওয়া হয়নি তার।’

সম্রাটের মা আরও বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর আমার সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় সে স্থান থেকে কোনো প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায় নাই। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম সম্রাটকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলার সময় কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সম্রাটকে নিয়ে অফিসের ভেতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ার সম্প্রচারে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে। অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ওই সব ব্যাগ দেখা যায়নি। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে সম্রাটকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে।’ কোন ব্যক্তির আক্রোশের শিকার সম্রাট—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সম্রাটের ভাই রাশেদ চৌধুরী বলেন, যখনই সম্রাট নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেন তখনই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button