জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান চললে ব্যবস্থা: মেয়র তাপস

এবিএনএ : ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানসহ যেসব অযান্ত্রিক যানবাহনে মোটর-ব্যাটারি-ইঞ্জিন সংযোজন করে সেগুলোকে যান্ত্রিক বানানো হয়েছে, আজ থেকে সেসব যানবাহন সড়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এসব ইঞ্জিনচালিত রিকশা বা যানবাহন সড়কে পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

রবিবার সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি, টালি গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ি নিবন্ধন, নবায়ন, মালিকানা পরিবর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এই হুঁশিয়ারি দনে। শেখ তাপস বলেন, ‘ঢাকা শহরকে অনেক কবি-সাহিত্যিক সিটি অব রিকশা বা রিকশার নগরী বলে চিত্রিত করেছেন। এটা আমাদের ঐতিহ্য। রিকশাসহ আমাদের যে ধীরগতির অযান্ত্রিক যানবাহনগুলো রয়েছে সেগুলোকে নতুন করে আমরা নিবন্ধন ও নবায়নের আওতায় আনছি। এর মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা আনাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’

নিবন্ধিত অযান্ত্রিক যানবাহন ছাড়া আর কোনো অযান্ত্রিক যানবাহনকে ঢাকা শহরে চলাচল করতে দেয়া হবে না জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এরই মধ্যে ডিএসসিসি এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহনের কার্যকারিতা নিরূপণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর ফলে কোন সড়কে ধীরগতির যানবাহন চলবে, কোন সড়কে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল করবে, এগুলো আমরা নির্ণয় করব। এই নিবন্ধন কার্যক্রমের মাধ্যমে ধীরগতির যানবাহনগুলো যেমনি নিবন্ধনের আওতায় আসবে তেমনি নিয়মের আওতায়ও আসবে।’

এটা শুধু নিবন্ধন কার্যক্রমই নয়, এই কার্যক্রম নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত সচল ঢাকা গড়তে পরিকল্পনার প্রথম ধাপ উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে অযান্ত্রিক যানবাহনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে তাদের সড়ক নির্ধারণ করে দেব এবং চালকদেরকেও আমরা নিবন্ধনের আওতায় আনব। এরই ফলে অযান্ত্রিক যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে যাতায়াতব্যবস্থার আওতায় আসবে।’

অনুষ্ঠানে করপোরেশনের পক্ষে করপোরেশন এলাকায় সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস একটি ঘোড়ার গাড়ি ও একটি রিকশার আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন। ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Share this content:

Back to top button