
এবিএনএ : ভারতে অনুষ্ঠেয় সোলার সামিট-২০১৮ এ যোগ দিতে গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। চারদিনের এই সফরে রাষ্ট্রপতি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আসামে ‘ফাউন্ডিং কনফারেন্স অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সে (আইএসএ)’ যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে হামিদ আসামের গৌহাটি পৌঁছান। সেখানে তাকে রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাগত জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলাও উপস্থিত ছিলেন।এর আগে দুপুর একটায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওই ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি।
বিমানবন্দরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানরা, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশ প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতিকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সহধর্মিণী রাশিদা খানম, ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকসহ বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।সফরের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভারতের মেঘালয় ও আসামে অবস্থান করবেন; যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অবস্থান করেছিলেন। বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (মুজিব বাহিনী) এর সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।আবদুল হামিদ ১১ মার্চ (রবিবার) নয়াদিল্লিতে আইএসএ এর সম্মেলনে যোগ দেবেন। এবারের সম্মেলনে প্রায় ২৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও নয়জন মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।আইএসএ একটি প্রথম চুক্তিভিত্তিক আন্তর্জাতিক ও আন্তঃসরকারি সংস্থা যার সদর দফতর ভারতে। এর সচিবালয় হরিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁও জেলায়।
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর চাপ কমাতে এবং সৌর শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলাঁদ ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ) গঠন করেন। আইএসএ সৌর শক্তি সমৃদ্ধ দেশগুলোর একটি জোট; যা থেকে তারা তাদের বিশেষ জ্বালানি চাহিদা মেটায় এবং সর্বসম্মতিক্রমে ঘাটতিগুলো চিহ্নিতকরণে একটি জোট গঠনে সহায়তা করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্মেলন থেকে একটি যৌথ ঘোষণা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে ১২১টি দেশের সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে সৌর শক্তি ব্যবহারে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়া এটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।
Share this content: