এবিএনএ : ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা দিতে না পারায় সিনেটে সাক্ষ্য দিতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘হাউস অব কমন্স’-এ সিনেটের বিচার ও বাণিজ্য সংক্রান্ত কমিটির ৪৪ সদস্যের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনায় তিনি বলেন, ওটা আমার ভুল ছিল। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য কিছু সময় দরকার। কিন্তু আমি সবকিছু ঠিক করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, তার কোম্পানি রাশিয়ান অপারেটরদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
যাতে তারা সামাজিক এ যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করে কোনো সুবিধা নিতে না পারে। শুনানিতে জাকারবার্গ বলেন, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বিশেষ কাউন্সিল রবার্ট মুলারের তদন্তকারী দল। কিন্তু সে সময় তাকে কোনো প্রশ্ন করা হয়নি। সিনেট কমিটিকে তিনি আরও বলেন, বিশেষ কাউন্সিলের সঙ্গে ফেসবুকের সম্পর্ক গোপনীয়। সবার সামনে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলতে চান না। সংবাদমাধ্যম টেক ক্রাঞ্চের প্রযুক্তিবিষয়ক সাংবাদিক জস কনস্টেইনের মতে, সাক্ষ্য প্রদানকালে জাকারবার্গ নতুন করে কিছু বলেননি। যেসব কথা লিখে ফেসবুক ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিবৃতি দিয়েছে সেসব কথাই বারবার আওরে গেছেন। ২০১৪ সালে থার্ড পার্টির মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য সংরক্ষণ করে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে একটি রাজনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণকারী ফার্ম। এ তথ্য জানতে পেরে ফেসবুক তাদের ডেটা মুছে দেয়া অনুরোধ করে। তা তারা সে সময় ডেটা মুছে দেয়ার কথা জানায় ফেসবুককে। কিন্তু সেই তথ্য পরে কাজে লাগানো হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে। সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি বিষয়টি এতদিন গোপন রাখলেও গত ১৬ মার্চ এ কাজের সঙ্গে জড়িত এক অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ওয়াইলি ডেটা রেখে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে পুরো বিষয়টি সামনে চলে আসে। ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা না দিতে পারায় তোপের মুখে পড়ে ফেসবুক। টেকশহর।