এবিএনএ : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো.আবদুর রহিমকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার এক সপ্তাহ হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন আসামীরা। এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। আবদুর রহিম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের পদে রয়েছেন। তিনি উপজেলার হাটিরপাড় গ্রামের মো.আসলাম মিয়ার ছেলে।
সাংবাদিক আবদুর রহিমসহ স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় একটি মসজিদে তালা দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন (শনিবার) বিকেলে উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের ছিখটিয়া সড়কের বড় বাড়ির রাস্তার মাথায় একদল সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা করে। এ সময় ৬/৭ জনের ওই সন্ত্রাসী দল সাংবাদিক আবদুর রহিমের উপর দা, রড, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে ওই সন্ত্রাসীরা রহিমকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা রহিমের মাথায় অাঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। পরে সাংবাদিক রহিমের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আবদুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, এই ঘটনায় ওইদিনই তিনি বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলার ছিখটিয়া (গণ্ডামারা) গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সোলেইমান মিয়া এবং তার তিন পুত্র সবুজ, সুমন ও মিলনকে আসামী করা হয়েছে। তবে মামলা হওয়ার ৭ দিন পার হলেও এখন আসামীরা গ্রেফতার হয়নি। বরং আসামীরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবদুর রহিমকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মনোহরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.মিলন মিয়া জানান, সাংবাদিক আবদুর রহিমের উপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে এই মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় তাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
Share this content: