আন্তর্জাতিক

সন্ত্রাসী তালিকায় রাখলে মাশুল গুনতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে

এবিএনএ : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নামের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যদি পিয়ংইয়ংকে সন্ত্রাসী দেশের তালিকায় রাখা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘কড়া মাশুল’ দিতে হবে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আজ শনিবার এএফপি এ তথ্য জানায়।

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের গণমাধ্যম কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী তালিকায় আবারও উত্তর কোরিয়াকে রাখতে যাচ্ছে। আরও থাকবে ইরান ও সিরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-কে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি পুনরায় তাদের সন্ত্রাসী দেশের তালিকায় উত্তর কোরিয়াকে রাখে, তাহলে ‘ভিত্তিহীন এই অভিযোগের জন্য তাদের কী পরিমাণ মাশুল গুনতে হবে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাবে’। মুখপাত্র আরও বলেন, পিয়ংইয়ং ‘সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে’। একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রজাতন্ত্রের সুনাম ক্ষুণ্ন করা চেষ্টা করছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বিমানবন্দরে রহস্যজনকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর জং-নাম মারা যান। তাঁকে উচ্চমাত্রায় বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান (ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট) দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করে আসছে, কিম জং-উনের নির্দেশে উং-নামকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মালয়েশিয়া সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মধ্যে দুই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আর রি জং চল নামের উত্তর কোরিয়ার নাগরিকের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছাড়া পেয়েই তিনি চীনে চলে যান। প্রজাতন্ত্রের সম্মান ক্ষুণ্ন করতে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। এটি ছিল ‘চক্রান্ত’। এ ছাড়া গতকাল পুলিশ উত্তর কোরিয়ার বিমান সংস্থার কর্মী কিম উক ইলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের দ্বিতীয় সেক্রেটারির সহায়তা চেয়েছে মালয়েশিয়া। দুজনই মালয়েশিয়াতেই আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই মামলায় উত্তর কোরিয়ার আরও চার সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা সম্ভবত ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া ছেড়ে গেছেন। ওই চার ব্যক্তিকে ধরতে সতর্কতা জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে অনুরোধ করেছে মালয়েশিয়া। উত্তর কোরিয়া জং-নামকে তাদের একজন নাগরিক বলে দাবি করলেও পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে তারা লাশ ফেরত চেয়েছে। কিন্তু ফেরত দিতে নারাজ মালয়েশিয়া। তারা বলছে, নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ ডিএনএ নমুনা দিয়ে শনাক্ত করার পরই লাশ নিতে পারবেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button