
এবিএনএ : দেশ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস মুছে ফেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এ জন্যই মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিচারপতি মানিকের মতো বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর দোসররা ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন, বানোয়াট মন্তব্য করছেন। এরা ক্ষমতাসীনদের উচ্ছিষ্ট। অবান্তর, অসত্য ও বিকৃত বক্তব্য প্রদানের জন্য মানিকের মতো বিকারগ্রস্ত লোকদের মাঠে নামিয়েছে সরকার। এদেরকে একদিন উচিত শিক্ষা দিবেই এ দেশের জনগণ ‘
রিজভী বলেন, ‘সত্যকে কোনোদিনই মুছে ফেলা যাবে না বরং আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর বিকৃত ইতিহাসকেই জনগণ আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।’ এ ধরনের কটূক্তিকারী ঘৃনিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। আজ শনিবার বিএনপি চেয়ারপাসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি দাবি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিচারপতি মানিকের কটূক্তির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দুপুর ১২টায় মিছিলটি নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইট এ্যাঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে এ সব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দী রেখে শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার আগুন নেভাচ্ছেন। বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে বর্তমান অবৈধ নিষ্ঠুর সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর বর্তমান স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর চলমান হয়রানি ও নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটাতে জনগণ এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে। গুম-খুন-ক্রসফায়ার-অপহরন-ভয় ও শঙ্কার বর্তমান এই দু:সময় অতিক্রম করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। “গণতন্ত্রের মা” শেনেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথেই আমাদেরকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মহানগর উত্তর যুবদল সভাপতি এস এম জাহাঙ্গির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাক গোলাম মাওলা শাহীনসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
Share this content: