
এবিএনএ : রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ওয়াসার পানি দূষণের কারণ চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। রোববার সচিবালয়ে ঢাকা মহানগরীর মশা নিধন কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
হাইকোর্টের ব্যাখ্যা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘৩৪টি পয়েন্ট থেকে পানি পরীক্ষার পর ২৬টি স্থানের পানিতে দূষণ পাওয়া যায়নি। ৬ বা ৮টিতে কনসার্ন আছে, সেখানে ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, তবে সেটা মানবদেহের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর নয়। আমরা একটা জায়গায়ও কোনো কন্ট্রামিনিটেড ওয়াটার সাপ্লাই করার পক্ষে নই।’
তিনি বলেন, ‘২৮টি পয়েন্টের পানি যদি তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে ভালো পাওয়া যায় তবে এজন্য তাকে এপ্রিশিয়েট করতে হবে; আর খারাপটার জন্য তাকে অ্যাকাউন্ট্যাবল (জবাবদিহিতা) করতে হবে। আমি মনে করি যেগুলো খারাপ আছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব।’ ডেঙ্গুর উপদ্রবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ডেঙ্গু মশার উপদ্রবটা মাথাব্যথার কারণ মনে করা হচ্ছে, এটাকে নিরসনের জন্য সিটি কর্পোরেশনসহ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে মশা নিধন করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনগুলো মশা নিধনে কাজ করা সত্ত্বেও প্রাদুর্ভাবমুক্ত করতে পারছে না, এটাকে নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের জন্য সভায় বসেছি। সবার বক্তব্য শুনে করণীয় নির্ধারণ করব।’ ‘বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এবার আগেই ড্রেনগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে অল্প বৃষ্টিতেও জলবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়,’ যোগ করেন মন্ত্রী। বর্ষাকালে ওয়াসার রাস্তা কাটা-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘শহরের রাস্তাঘাটের পাশ দিয়ে ওয়াসা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির পাইপলাইন গেছে, এগুলো সনাতনীভাবেই প্রতিস্থাপন করতে হয়। যখনই প্রয়োজন হয় ওই কর্তৃপক্ষের মাটি কাটার বিষয়টি অপরিহার্য হয়ে যায়। আমরা শহরকে ওভাবে গড়তে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক অনেক বছর আগে এসব পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিচ্ছি যাতে এসব কষ্ট থেকে নাগরিকদের পরিত্রাণ দিতে পারি। সিটি কর্পোরেশনগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে এসব রাস্তা পেয়েছে।’ এবার অল্প বৃষ্টিতে সচিবালয়েই জলাবদ্ধতা দেখেছি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অতিবৃষ্টি হলে পানি জমতে পারে। অনেক সময় নালাগুলো ভালোমতো পরিষ্কার করা হয় না। এটা যেন না হয় সেজন্য সিটি কর্পোরেশন কাজ করেছে। আমার মনে হয় অতীতের তুলনায় সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। আমাদের যে পরিকল্পনা আছে সেটার বাস্তবায়ন হলে আমি মনে করি ঢাকাবাসী একটা দৃষ্টিনন্দন শহর উপভোগ করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, সব অর্জন এক বছরে করার পরিকল্পনা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, আপনারাও সেটাকে সমর্থন করবেন না।
Share this content: