

এবিএনএ : মিয়ানমারের রাখাইন সহিংসতা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সম্প্রতি সফর করা মার্কিন ডেপুটি পররাষ্ট্র মন্ত্রী (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া) প্যাট্রিক মারফি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্যাট্রিক মারফি বলেন, আমরা মনে করি মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে ও মানবিক সহায়তা প্রদানে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। উত্তেজনা কমিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চলতি সপ্তাহে মিয়ানমার সফর করা মারফি বলেন, গত মঙ্গলবার সু চির ভাষণে রাখাইনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। এজন্য বিভিন্ন গোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকার রয়েছে এবং সেখানে সামরিক বাহিনীর এমন ক্ষমতা রয়েছে যা নির্বাচিত সরকারের অধীনে থাকতে পারে না। স্থানীয় নেতৃত্ব ও জনগোষ্ঠী রয়েছে যাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তিনি যোগ করেন, রাখাইনে থাকা নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীদের গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে, আমরা এই প্রতিশ্রুতি (রাখাইনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সু চির প্রতিশ্রুতি) বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে অপেক্ষা করছি।
গত ২৫ আগস্ট আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) পুলিশ চেকপোস্টে সমন্বিত হামলার প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরু করে। এই অপারেশনের জেরেই ৪ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে যাকে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
আরসার সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সংযোগের দাবি করলেও মার্কিন ডেপুটি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরসাকে কথিত গোষ্ঠী উল্লেখ করে বলেন, এই দাবি সত্যাসত্য সম্পর্কে জানা যায়নি, তবে এটি বিদেশি জঙ্গিদের নতুন সুযোগ হিসেবে প্রণোদনা দিতে পারে এমন ঝুঁকি রয়েছে।