
এবিএনএ : মানুষ এখনও স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারছে না উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের প্রয়াসই হবে এই সম্মেলনের অঙ্গীকার। শনিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (আইইবি) মিলনায়তনে দলটির নবম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ৯ বছরের সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ব্যতীত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেবল এই সম্মেলনেই এই শূন্যতা বিরাজ করছে না, গোটা দেশ তা অনুভব করছে। তার মতে, দলের প্রতিটি নেতাকর্মী-সমর্থক এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন পল্লীবন্ধুর শূন্যতা বুকের গভীরে ধারণ করে।
‘আমরা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার করে এসেছি। এখনও স্বাধীনতার সুফল মানুষ ভোগ করতে পারছে না। সর্বাত্মক অর্থনৈতিক মুক্তি আসেনি, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি।’ তিনি বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক সমাজ জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই জাপা নেতার মতে, বেকারত্ব যুবসমাজকে হতাশাগ্রস্ত করে রেখেছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাজ করছে শূন্যতা। সহমর্মিতা ও সহনশীলতার রাজনৈতিক প্রবণতা ক্রমান্বয়ে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
‘স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মূলমন্ত্র ছিল বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়া। সেই লক্ষ্যের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নই এখন আমাদের রাজনীতি, আমাদের সংগ্রাম, আমাদের যুদ্ধ।’ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব ও সংসদ সদস্য (এমপি) মশিউর রহমান রাঁঙ্গা, ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এবারই প্রথম দলটির কাউন্সিল হচ্ছে। এর আগে ৮টি কাউন্সিলই হয়েছে এরশাদের জীবদ্দশায় এবং তার উপস্থিতিতে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৪ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়। এতে দলটির প্রায় ৫০ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসহ লক্ষাধিক প্রতিনিধি যোগ দেন। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর কাউন্সিল করার বিধান থাকলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর কারণে ২৮ ডিসেম্বর নবম কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এদিকে কাউন্সিল ঘিরে জমজমাট এখন জাতীয় পার্টির প্রধান দুটি কার্যালয়। বনানীর পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের পাশাপাশি কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত।
Share this content: