অর্থ বাণিজ্যলিড নিউজ

‘ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল দেওয়া হবে’

এবিএনএ : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, যৌথ উদ্যোগে কৃষিভিত্তিক শিল্প ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলার মাধ্যমে ভারত এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বৈষম্য কমানো যেতে পারে।
শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বরাবরই ভারতের অনুকূলে রয়েছে। ভারত ২০০১-০২ অর্থবছরে বাংলাদেশে ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আরো ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য বাংলাদেশে আসছে বলে বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা তথ্য দিয়েছেন। সে তুলনায় বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি মাত্র অর্ধ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনুকরণীয় মডেল- এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন চাল, মিঠা পানির মাছ এবং ছাগল রপ্তানিতে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া সবজি রপ্তানিতে বাংলাদেশ তৃতীয়। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় চাল রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ চাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।’
ইন্ডিয়ান চেম্বার থেকে আগত ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে এই ১০০টি থেকে বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল বরাদ্দ দেওয়া হবে। যেখানে ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারবেন।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) মহাপরিচালক রাজিব সিং, এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রমুখ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button