এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরে জো বাইডেন কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি বিশ্বের ভ্যাকসিন উৎপাদনের ‘হাতিয়ারে’ পরিণত করবেন। বর্তমানে এ ঘোষণা নিয়েই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাইডেন। বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাতো বটেই, তার দল ডেমোক্রেট পার্টির সদস্যরাও এখন আক্সগুল তুলে বলছেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষার কাছাকাছিও নেই বাইডেন।
বাইডেন বিশ্বের দেশগুলোকে ৬০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের হিসাব বলছে, বিশ্বজুড়ে কোভিডকে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজন ১১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন। এছাড়া বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও সেনেগালেও ভ্যাকসিন উৎপাদনে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এরইমধ্যে আগামি মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেয়ার কথা বলছে বাইডেন প্রশাসন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডেমোক্রেট নেতারা এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তারা বিশ্বজুড়ে কোভিড নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণে প্রেসিডেন্টের প্রতি আরও বেশি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বছর কোভিড মোকাবেলায় ১৬.০৫ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছিল দেশটির কংগ্রেস। এই অর্থ ব্যয় করার কথা ছিল কোভিড চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন উৎপাদনের পেছনে। তবে একটি এডভোকেসি গ্রুপ হিসেব করে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন মাত্র ১৪৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধিতে। এরমধ্যে ১২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে কংগ্রেস অনুমোদিত ১৬.০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে। হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়েছে পরিকল্পনা অনুযায়ীই সকল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে শুধু ভ্যাকসিনের কাঁচামাল কিনতে ও ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে। তবে অর্থ আসলে কোথায় কোথায় ব্যয় হয়েছে এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সাড়া দেয়নি তারা। এ নিয়ে ওয়াশিংটনের ডেমোক্রেট সিনেটর প্যাটি মুরে এই ব্যায়ের বিস্তারিত হিসাব জানতে চেয়েছেন।
এদিকে ক্যাপিটল হিলে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনসহ ১১৬ ডেমোক্রেট নেতা এ বছর এই ব্যয় বাড়িয়ে ৩৪ বিলিয়ন করার আহ্বান জানান। এতে করে আরও বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ নিয়ে তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট তার কোনো জবাব দেননি।
Share this content: