
এবিএনএ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১৪ হাজার ৪১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া আরো ২০ হাজার ৭৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। ৪ হাজার ৫৬৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের তিনটি স্থান থেকে ২ হাজার ৩৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে শুরু হবে। ইতোমধ্যে বহরমপুর এবং ত্রিপুরা থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে জনগণ ২০০ ধরনের সেবা পাচ্ছেন। ৯ বছর একটানা জনসেবার সুযোগ পেয়েছি বলেই বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মন্দা থাকা সত্বেও আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। জনগণ এর সুফল ভোগ করছেন।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা পেয়েছে, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৬১০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। হতদরিদ্র ২৪ দশমিক ২৩ ভাগ থেকে ৭ দশমিক ৯ ভাগে নেমে এসেছে। আমরা আগামী মার্চ মাসেই বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্রাজুয়েশন লাভ করতে যাচ্ছি। তখন কেউ আর আমাদের অবহেলা করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ২০০৮-০৯ বছরে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মুল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশে নেমে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বৈদেশিক বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭ সালে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার ১৩০ জনের। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
Share this content: