খেলাধুলালিড নিউজ

বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতি টানলেন মালিঙ্গা

এবিএনএ : প্রথম ওভারেই মালিঙ্গার ইয়র্কার ঠেকাতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন তামিম ইকবাল। বোল্ড হয়ে গেলেন। হাত প্রসারিত করলেন সিলিঙ্গা নামে পরিচিত লংকান পেসার। পুরো ক্যারিয়ারের প্রতিচ্ছবি রেখে গেলেন। বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানের নাভিশ্বাস তোলা শ্রীলংকার ‘মালি’ শেষ বেলায়ও আলো ছড়ালেন। শুরুতে লংকান ব্যাটসম্যানদের বড় রান এনে দেন। বুড়ো মালিঙ্গার নেতৃত্বে লংকান বোলিং আক্রমণ দারুণ দক্ষতায় আটকালো সেই রান। ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৯১ রানের বড় এক জয় উপহার পেলেন মালিঙ্গা।

শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলংকা। মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচে গ্যালারিতে ছিল আলাদা সাজ। ব্যাটিং করতে নেমেছেন করুনারত্নে-আভিস্কারা। কিন্তু মালি মালি চিৎকার ছুটে এসেছে গ্যালারি থেকে। লংকান ব্যাটসম্যানরাও মালির জন্য ভালো খেলতে চেয়েছেন। কুশল পেরেরার ১১১ রানের সুবাদে ব্যাটিংয়ে ৩১৪ রানের পুঁজি পেয়ে যায় শ্রীলংকা।

বল করতে নামার আগে মালিঙ্গাকে এভাবেই সম্মান জানান লংকান ক্রিকেটাররা। 

জবাব দিতে নামা বাংলাদেশের শুরুতে ভালো ব্যাটিং করতে হতো। কিন্তু প্রথম ওভারেই শূন্য রানে তামিম ইকবালকে ফেরান মালিঙ্গা। অধিনায়কত্বের অভিষেক ডাক মেরে হলো তামিমের। একটু বাদেই নুয়ান প্রদীপের বলে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন।তিনি খেলেন ১০ রানের ইনিংস। পুরো ক্যারিয়ারে ইয়ার্কারের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠা মালিঙ্গা শেষ বেলায়ও ইয়র্কার দিয়ে মাত করলেন। সৌম্যকে তুলে নিলেন ১৫ রান করতেই। এরপর দলের ৩৯ রানে মাহমুদুল্লাহ ফিরতেই জয়ের সুবাস পেতে থাকেন মালিঙ্গারা।

সেই সুবাস উল্টো রথে ঘুরাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সাব্বির-মুশফিকের ব্যাটে আশা দেখছিল টাইগাররা। দলের বিপর্যয়ে তারা গড়নে ১১১ রানের জুটি। দলের ১৫০ রানে ব্যক্তিগত ৬০ রান করে ফিরে যান সাব্বির রহমান। এরপর ১২ রান করে মাহমুদুল্লাহ-সাব্বিরের পর মুশফিককে রেখে ফেরেন মোসাদ্দেকও। বাংলাদেশ ১৮৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। ব্যক্তিগত ৬৭ রানে মুশফিক ফিরতেই হার সময়ের ব্যবধান হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষে মুস্তাফিজুর রহমান ১৮ রান করলে জয়ের ব্যবধানই যা কমে। বাংলাদেশ ৪১.৪ ওভারে থামে ২২৩ রান করে।

শ্রীলংকার হয়ে কুশল পেরেরা ছাড়াও কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসরা ভালো ব্যাটিং করেন। তারা যথাক্রমে ৪৩ ও ৪৮ রান করেন। দিমুথ করুণারত্নে খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও বাংলাদেশ ছিল বিবর্ণ। তিন বছর পরে দলে ফেরা শফিউল ইসলাম তিন উইকেট নেন। মুস্তাফিজ নেন দুই উইকেট। বোলিং পরিকল্পিত মনে হয়নি বাংলাদেশের। অধিনায়ক তামিমও ছিলেন রক্ষনাত্মক। শ্রীলংকার হয়ে বিদায় বেলায় তিন উইকেট নেন মালিঙ্গা। নুয়ান প্রদীপও নেন তিনটি উইকেট।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button