
এবিএনএ : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের উদ্বোধন হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। দুপুর ১২ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ উপলক্ষে রাজধানীর মৌচাক মোড়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের জন্য অস্থায়ী একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। কে কাকে বাদ দিয়ে এই মঞ্চে থাকবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ কারণে হয়ে গেলো হাতাহাতি। মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে থাকা নিয়ে তাদের এই কাণ্ড সমালোচিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শুরু হয় মঞ্চে ওঠার প্রতিযোগিতা। এক সময় তা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল দীর্ঘ ৪০ মিনিটের মতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মঞ্চ থেকে সবাইকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে অতিরিক্ত সচিব মো. রইসউদ্দিন মঞ্চে শুধু এলজিইডির কর্মকর্তা বাদে সবাইকে মঞ্চ ছাড়ার নির্দেশ দেন।এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন মঞ্চে উঠে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান চলাকালে মৌচাক থেকে মগবাজার রেলগেট পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকবে। ফলে ওই এলাকার অন্যান্য রাস্তায় যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর যথাসম্ভব দ্রুত সড়কটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির কর্মকর্তারা।মৌচাক মোড়ে প্যান্ডেল তৈরি করে ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন দেখানো হবে। সেখানে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণিসহ আওয়ামী লীগের নেতা ও দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ তিন তলাবিশিষ্ট চার লেনের এই ফ্লাইওভারটি ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল। এর প্রতিটি পিলার ১৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত করা হয়েছে। এর নিচে বিভিন্ন জায়গায় আটটি বড় মোড় ও তিনটি রেলক্রসিং রয়েছে।২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর শুরু হওয়া ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের নভেম্বরে। তবে নকশায় ত্রুটি, সঠিক নকশা পেতে দেরি, ড্রয়িং-ডিজাইনসহ বিভিন্ন জটিলতায় বেশ কয়েকবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
Share this content: