আমেরিকালিড নিউজ

প্রেসিডেন্ট নন, বিশ্বখ্যাত হতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প!

এবিএনএ : ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে লেখা নতুন একটি বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নন, বিশ্বের একজন বিখ্যাত মানুষ হতে চেয়েছিলেন তিনি। আর এ জন্যই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল ওলফের লেখা ‘ফায়ার অ্যান্ড ফারি : ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ শীর্ষক বইয়ে ট্রাম্প, তার পরিবার ও সহযোগীদের নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। বইটিতে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হওয়া তার লক্ষ্য ছিল না এবং নির্বাচনে আকস্মিক জয়ের খবর শোনার পর উচ্ছাস প্রকাশ না করে কেঁদেছিলেন তার স্ত্রী মেলানিয়া।
ট্রাম্প তার সহযোগী স্যাম নানবার্গকে নির্বাচনের আগে একবার বলেছিলেন, মোটের ওপর কখনোই নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্য ছিল না তার। বিশ্বের বিখ্যাত মানুষ হতে চেয়েছিলেন তিনি।
ওলফের বইয়ের একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘তার দীর্ঘসময়ের বন্ধু রজার অ্যাইলস ও ফক্স নিউজের প্রাক্তন প্রধান প্রায়ই বলতেন, যদি টেলিভিশনে ক্যারিয়ার গড়তে চাও, তাহলে আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াও।’
বইয়ে ওলফ লিখেছেন, ট্রাম্পের অভিষেকের পর হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে একটি আধা-স্থায়ী আসন পান তিনি। স্বয়ং প্রেসিডেন্টই তাকে এ বুদ্ধি দিয়েছিলেন। কারণ, এ ধরনের অবস্থানে তাকে অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যানের কেউ ছিল না। ফলে ওয়েস্ট উইংয়ে তিনি আমন্ত্রিত অতিথি নয়, বরং অনধিকার প্রবেশকারী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন। ওলফ আরো লিখেছেন, সেখানে তার যাতায়াতের কোনো আইন ছিল না এবং সেখানে তিনি যা দেখছেন, তা নিয়ে কার কাছে কী ধরনের প্রতিবেদন দেবেন, তারও কোনো প্রতিশ্রুতি ছিল না।
বইয়ের অংশবিশেষ নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন-এ ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ডিড নট ওয়ান্ট টু বি প্রেসিডেন্ট’ শিরোনামে প্রকাশিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বইটিতে মাত্র একটি সংক্ষিপ্ত কথোপকথন উল্লেখ আছে। প্রেসিডেন্টের অভিষেকের পর থেকে এ পর্যন্ত তার সঙ্গে মাত্র ৫-৭ সেকেন্ডের কথোপকথনের উল্লেখ আছে।
ব্যাননের মাথা খারাপ হয়ে গেছে : ট্রাম্প
হোয়াইট হাউজের চাকরি হারানোর পর প্রাক্তন উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের ‘মাথা খারাপ হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। একই বইয়ে ব্যানন নির্বাচনী প্রচারের সময় একদল রাশিয়ানের সঙ্গে ট্রাম্পপুত্র ডোনাল্ড জুনিয়রের বৈঠককে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ বলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন রূঢ ভাষায় তার সাবেক চিফ স্ট্র্যাটেজিস্টের সমালোচনা করেছেন।
বইতে ব্যানন বলেন, ২০১৬ সালের জুন মাসে হওয়া ওই বৈঠকে রাশিয়ানরা হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে বিধ্বংসী তথ্য দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার ও হোয়াইট হাউজের শুরুর দিনগুলোতে ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যাননের এমন উদ্ধৃতি মার্কিন গণমাধ্যমে হই চই ফেলে দিয়েছে। এরপরই কট্টর ডান বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ব্যাননের কড়া সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
“আমার বা আমার কাজের সাথে ব্যাননের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ওকে যখন বরখাস্ত করা হল, কেবল চাকরিটাই গেল না, ওর মাথাটাও গেল।’ বইয়ের অংশবিশেষ প্রকাশের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন।

Share this content:

Back to top button