আমেরিকা

না চাইলেও বেতন নিতে হবে ট্রাম্পকে!

এবিএনএ : নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময়েই বেতন নেওয়ার বিষয়ে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও সে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন বিষয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বেতন না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন তাকে সম্ভবত টাকা নিতেই হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বেতন বছরে চার লাখ ডলার (তিন কোটি ২০ লাখ টাকা)। দেশটির নবনির্বাচিত ধনকুবের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, এই বেতন থেকে বছরে মাত্র এক ডলার নেবেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে কাজে এতটাই ডুবিয়ে দেবেন যে, ছুটিও নেবেন না। তবে বেতন না নেওয়ার বিষয়টি নিয়েই দেখা দিয়েছে জটিলতা।
এর আগে ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের প্রচারের সময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বেতন নেবেন না বলে অঙ্গীকার জানিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একেবারেই বেতন না নেওয়া আইনসংগত হবে না। তাই আমি এক ডলার বেতন নেব। প্রেসিডেন্টের বেতন ঠিক কত, তাও তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেবারে বেতন না নেওয়া কিংবা বছরে মাত্র এক ডলার বেতন নেওয়া সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে সম্ভব হবে না।  কারণ হিসেবে মার্কিন আইনের কথা বলছেন তারা। এক্ষেত্রে টাইটেল ৩ -এর কথা বলা যায়। অনুসরণ করলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবশ্যই আয় করতে হবে কমপক্ষে চার লাখ ডলার। এছাড়া তার পঞ্চাশ হাজার ডলার ব্যয় এবং এক লাখ ডলার ট্যাক্সবিহীন ট্রাভেল ব্যয় ও ১৯ হাজার ডলার বিনোদন বাবদ ব্যয় করতে হবে।
তবে তিনি যদি বেতন নিতে না চান তার ব্যবস্থা না থাকলেও ইচ্ছে করলে বেতন নেওয়ার পর তা দাতব্য কাজে ব্যয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা নেই।

Share this content:

Back to top button