
এবিএনএ : চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ ৩ মাস পর বাংলাদেশের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোররাত তিনটার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে দেশের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার জানান, খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। হিথ্রো বিমানবন্দরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানসহ লন্ডন বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানটি দুবাইয়ে অবতরণ করে। সেখানে দুইঘণ্টা বিরতির পর ফের ১২টার দিকে বিমানটি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী তাবিথ আউয়াল।
বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার অবতরণের কথা রয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোট নেতাদেরও বিমানবন্দরে থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দল, জাসাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্যোগে ওই অঘোষিত বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি চলছে। এ জন্য ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকেও জমায়েত হবেন দলীয় নেতাকার্মীরা।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সফরসঙ্গী হিসেবে একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, তাবিথ আউয়াল তার সঙ্গে লন্ডন যান। পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ কয়েক নেতা সেখানে যান। তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন মা ও ছেলে। লন্ডন পৌঁছার পর থেকে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। তিন মাস লন্ডন থাকাবস্থায় একদিন তাকে জনসম্মুখে দেখা যায়। ওই দিন একটি দোকানে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে নিয়ে বই কিনতে যান খালেদা জিয়া। লন্ডনের মরফিল্ড হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা ছাড়াও কয়েক দফা পায়ের চিকিৎসা করান তিনি।
Share this content: