এবিএনএ : করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও গণপরিবহন। করোনা পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকলেও দেশ-বিদেশে যাতায়াত কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট স্ক্রিনিং হয়েছে ১ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং হয়েছে ১ হাজার ৮৫ জন।
সোমবার (২২ জুন) দুপুরে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং হয়েছে ১ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ হাজার ৮৫ জন, স্থলবন্দরে ৪৫৮ এবং সমুদ্রবন্দরে ৬৬ জন। এ পর্যন্ত স্ক্রিনিং হয়েছে মোট ৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৩ জন।’
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২টি পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। সে সবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ২৮৭টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫৫টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭১৯টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় যা পরীক্ষা হয়েছে, তাতে শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৮০ জন। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৮ এবং এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।’
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ৩৩ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। এদের ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, চারজন বরিশাল বিভাগের, দুজন করে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন সিলেট বিভাগের। এদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন মারা গেছেন। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের, বাসায় ১২ জনের এবং হাসপাতালে আনার পর একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
Share this content: