
এবিএনএঃ রাজধানীতে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস ২০১৯ উপলক্ষ্যে থাইরয়েড রোগ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চলছে ৩ দিন ব্যাপি ‘থাইরয়েড মেলা’। মেলায় প্রায় ৩০০ রোগীর বিনামূল্যে ও কমমূল্যে সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঢাকার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশে প্রথম বারের মত এ মেলার আয়োজন করে দ্য থাইরয়েড সেন্টার। মেলা উপলক্ষে ১ মে দুপুর ১২ টায় থাইরয়েড মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন দ্য থাইরয়েড সেন্টার।
সংবাদ সম্মেলনে মেলার আয়োজকরা জানান, মেলায় থাইরয়েড রোগীদের কম মূল্যে সুচিকিৎসা এবং যাদের থাইরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের সল্প মূল্যে ও ১ বছরের নিচে শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। মেলায় ৩য় দিন “থাইরয়েড টিউমার ও ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা” বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
৩ দিনের এ মেলায়-থাইরয়েড রোগ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা ,সুলভ মূল্যে থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা প্রদান ,থাইরয়েডের আধুনিক চিকিৎসা বিষয়ে জনসাধারণ কে অবহিত করা এবং থাইরয়েড স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।
মেলার উদ্বোধন করেন দ্য থাইরয়েড সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডাঃ এ. কে. এম ফজলূল বারী। অনুষ্ঠানে থাইরয়েড রোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন থাইরয়েড সার্জারী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ মঞ্জুরুল আলম ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রফেসর ডাঃ মঞ্জুরুল আলম, থাইরয়েড সার্জারী বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। তার বক্তৃতায় থাইরয়েডের আধুুনিক সাজার্রী যা এন্ডোসকপিক সার্জারী নামে পরিচিত এ বিষয় একটি তথ্যবহুল উপস্থপনা উপস্থপন করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যামে কম রক্তপাতে কার্যত কোন দৃশ্যমান কাটা ছেড়া ছাড়া থাইরয়েড অপারেশন সম্ভব।
অধ্যাপক ডাঃ এ. কে. এম ফজলূুল বারী তার লিখিত বক্তব্যে জানান যে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ থাইরয়েড গ্রন্থির নানা রোগে ভুগছে। প্রতি ৭ জন রোগীর ৫ জনই মহিলা। ৩৯.১ শতাংশ মানুষ আয়োডিনের আভাব জনিত সমস্যায় ভুগছেন। আয়োডিনের অভাবে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটছে না। শতকরা ১০.৫ ভাগ লোক আয়োডিনের অভাবে গয়টারে(আইডিজি) আক্রান্ত। এক সময় দেখা যাচ্ছে তাদের গলার নিচের অংশ ফুলে যাচ্ছে। শতকরা ০.১ ভাগ লোক জন্মগত ভাবেই এ রোগে আক্রান্ত। এ সমস্যা থাকার কারনে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারিরীক বিকাশ ঘটছে না। শতকরা ২৬ ভাগ শিশু আয়োডিনহীনতায় ভুগছে। এ সকল আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকাংশই চিকিৎসা সেবার আওতায় নেই। এই পেক্ষাপটে ২০০৭ সালে দি থাইরয়েড সেন্টার লিঃ এর যাত্রা শুরু হয় এবং দি থাইরয়েড সেন্টার বিগত এক যুগে হাজার হাজার
থাইরয়েড রোগীকে অল্প মূল্যে চিকিৎসা প্রদান ও সাধারন মানুষের মধ্যে থাইরয়েড রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা এবং প্রতি শুক্র ও শনিবারে এখানে বিনামূল্যে রোগী দেখার ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া প্রতি শনিবার থাইরয়েড স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের আওতায় ৫০০০ টাকার পরীক্ষা মাত্র ১৫০০ টাকায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও দি থাইরয়েড সেন্টার লিঃ এর প্রায় ৫,০০০ হাজার নিয়মিত সদস্য আছে।
Share this content: