
এবিএনএ : নিউইয়র্ক শহরে ডিসেম্বরের কোনো এক সফরে লেখিকা জেন ক্যারোল বলেন, একজন ফ্যাশন পরামর্শকের সঙ্গে তিনি শপিংয়ে বের হয়েছেন। জীবনের সেরা দিনগুলোর একটিতে পরবেন—এমন চমৎকার পোশাক কিনবেন; যখন তিনি এমন এক ব্যক্তির মুখোমুখি হবেন, যার হাতে কয়েক দশক আগে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নারী সাংবাদিক ও লেখকের প্রত্যাশা— চলতি বছরেই সেই দিনটি আসবে। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝিতে ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে এই লেখিকাকে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন ট্রাম্প। যে কারণে ২০১৯ সালের নভেম্বরে তখনকার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছিলেন ক্যারোল।
ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, আমি কখনই ক্যারোলকে চিনতাম না। সে তার বইয়ে মিথ্যা লিখেছে। সে আমার কাছে আকর্ষণীয় কেউ ছিল না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি ক্যারল বলেন, আমি সেই মুহূর্তের জন্য বেঁচে আছি, যখন তার বসে থাকা টেবিলের বিপরীতে আমি হাঁটাহাঁটি করব। রোজই আমি এটি ভাবী। এলি ম্যাগাজিনের সাবেক কলামনিস্ট ক্যারোলের বয়স ৭৭ বছর। মামলায় তিনি নিজের অনির্দিষ্ট ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন এবং ট্রাম্পের বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়েছেন।
দুই মামলার একটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অসদচারণের অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর এ মামলা এখন গতি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কারণ তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আইনজীবীদের যুক্তি ছিল– দায়িত্বের চাপে ট্রাম্প এ মামলায় নিয়মিত অংশ নিতে পারছেন না।
মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের সাবেক কৌঁসুলি জেনিফার রজার্জস বলেন, এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাঁধা ছিল—ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। কাজেই বিচারকদের মধ্যে এখন সেই বোধ আসবে যে—মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এখনই। কারণ ট্রাম্প এখন আর প্রেসিডেন্ট নেই। এ বিষয়ে ট্রাম্পের অ্যাটর্নিদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
Share this content: