
এবিএনএ : চাঁদ নিয়ে কাজ করায় মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, চাঁদকে ছেড়ে মঙ্গলগ্রহের মতো আরও বড় কোনও লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিৎ নাসার। ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা এত এত টাকা খরচ করছি। এখন চাঁদে যাওয়ার আলোচনা বন্ধ করা উচিত নাসার। আমরা ৫০ বছর আগেই চাঁদে গিয়েছি। আরও বড় লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে কাজ করছি আমরা। নাসার উচিত সে দিকে দৃষ্টি দেওয়া। যেমন- মঙ্গলগ্রহ (মঙ্গলগ্রহেরই একটি অংশ চাঁদ), প্রতিরক্ষা ও বিজ্ঞান!’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ টুইট ইতোমধ্যেই তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলের শিকার হচ্ছেন তিনি।শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের এমন ঘোষণা মহাকাশ সংশ্লিষ্টদের স্তম্ভিত করেছে। তবে নাসা এখনো এ প্রসঙ্গে কিছু বলেনি। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর উপগ্রহ হচ্ছে চাঁদ। এটি থেকে মঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ১৪ কোটি মাইল দূরে। লক্ষ কোটি বছর আগে পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহসদৃশ কিছুর সংঘর্ষে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ থেকেই চাঁদের সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে ট্রাম্পের এই টুইট তার প্রশাসনের মহাকাশনীতি নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়িয়েছে। এমনকি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ঘোষণার বিপরীতেও যাচ্ছে। কারণ, গত বছরের অক্টোবরে মাইক পেন্স ঘোষণা করেন, অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র যেন আবারও চন্দ্রপৃষ্ঠে অভিযানে যেতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা।
নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টেইন আরও একধাপ এগিয়ে জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে আবারও চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস নাসার এই বক্তব্যে সম্মতিও জানায়। গত ১৩ মে ট্রাম্প নিজেও টুইট করেন। তিনি লিখেন, ‘আমরা আবারও চাঁদে যাচ্ছি।’ অথচ তিন সপ্তাহের মাথায় শুক্রবার হঠাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইটারে নাসাকে আক্রমণ করে বসেন। বলেন, চাঁদ মঙ্গলগ্রহেরই অংশ।
Share this content: