আইন ও আদালতলিড নিউজ

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর আগাম জামিনে মইনুল

এবিএনএ: মানহানীর দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পর হাইকোর্ট থেকে পাঁচ মাসের আগাম জামিন পেলেন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং নবগঠিত ঐক্যফ্রন্ট নেতা মইনুল হোসেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ জানান, তারা জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছেন। আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। তারা এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

টেভিলিশন লাইভে এসে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার প্রতিক্রিয়ায় রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা হয় এবং এরপর মইনুলের বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। একই ধরনের একটি পরোয়ানা জারি হয় জামালপুরের আদালতে। সেখানে মামলা করেন একজন যুব মহিলা লীগ নেত্রী।

আর এর পর পর মইনুল আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে জামালপুর ও ঢাকায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই দুই মামলায় আদালতে জামিন আবেদন করা হলে আদালত ৫ মাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন।’ ‘একাত্তর টেলিভিশনের টকশোতে তিনি (মইনুল) একটি মন্তব্য করেছিলেন। সেই কারণে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মন্তব্যের জন্য ফোন করে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন, লিখিতভাবেই সরি বলেছেন। তারপরও মামলা হয়েছে, যা আমরা আশা করিনি। জামালপুরে যিনি মামলা করেছেন তিনি যুব মহিলা লীগের সদস্য। তাহলে বোঝা যায়, এর পেছনে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।

মইনুল হোসেন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমি একটি জাতীয় ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। আমাকে অত্যন্ত অপমান করা হয়েছে জামায়াতের এজেন্ট বলে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর কিছু বলব না।’ গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন মিথিলা ফারজানা। এতে অতিথি ছিলেন মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। আলোচনায় স্টুডিওর বাইরে থেকে যুক্ত হন মইনুল হোসেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার সূত্র ধরে মইনুল হোসেনের কাছে ভাট্টি প্রশ্ন রাখেন, তিনি ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না। এর জবাবে মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’ এরপর সমালোচনার মুখে মইনুল ফোন করে মাসুদা ভাট্টিকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে তিনি বিবৃতি দিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন। যদিও তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন ৫৫ জন সাংবাদিক এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। নারী সাংবাদিকরাও একই দাবি জানিয়েছেন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button