
এবিএনএ : নির্মিতব্য মেট্রোরেল প্রকল্পের আওতায় গ্যাসের পাইপলাইন স্থানান্তরে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে রাজধানীর বৃহত্তর মিরপুর, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর ও কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা শুক্রবার তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গ্যাস সংযোগ না থাকায় রান্না ও খাওয়াসহ নাগরিক জীবনের নৈমিত্তিক কাজ থমকে যায়। ওই এলাকাগুলোর শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় উৎপাদন ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরাও ক্ষতিগ্রস্ত এবং ভোগান্তিতে পড়েন।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্র জানায়, মেট্রোরেল প্রকল্পের আওতায় পাইপলাইন স্থানান্তর ও পুনঃসংযোগ প্রদানের জন্য বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় আগেই মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটি দেখা দেয়ায় এবং পাইপ থেকে গ্যাস সরাতে অনুমিত সময়ের বেশি লাগায় পুনঃসংযোগে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। বিকেল ৪টা নাগাদ সব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।
তিতাস গ্যাস এবং নাগরিক অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত যে এলাকাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিরপুর-১০ হতে আগারগাঁও পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে মনিপুর, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া, পীরেরবাগ, বড়বাগ, আগাঁরগাও, সেনপাড়া পর্বতা, ইব্রাহিমপুর, উত্তর ও দক্ষিণ কাফরুল, তালতলা, কচুক্ষেত, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মিরপুর-১, ২, ৬, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর ডিওএইচএস, আহমেদ নগর, শাহ আলী বাগ, কালশি, পাইকপাড়া এবং ৬০ ফুট রাস্তার উভয় পাশের এলাকা।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন ওই এলাকার আবাসিক গ্রাহকরা। অনেক গৃহিনীই তিতাস কর্তৃপক্ষের ঘোষণামত সকালের নাস্তার প্রস্তুতি কিছুটা রাতে সেরে রাখলেও সকাল ৮টার পর গ্যাস না আসায় বিভ্রান্ত ও হয়রানিতে পড়ে যান। স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোতে দিনভর ভিড় ছিল।
মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকার গৃহিনী নূপুর বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গ্যাস থাকবে না বলে জানানো হয়েছিল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় তাই আগেই ভেবে রেখেছিলাম, সকালের নাস্তা পরে তৈরি করবো। কিন্তু অনেকসময় গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করে পরে কেরোসিন তেলের চুলায় রান্না করতে হয়েছে।
কল্যাণপুরের বাসিন্দা রাজিব আহমেদ বলেন, বাসায় খাবার তৈরি করতে না পারায় রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক ভিড় ঠেলে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে সকালের নাস্তা আনি। দুপুরেও গ্যাস না আসায় জুমার নামাজের পর রেস্টুরেন্ট থেকে ফের খাবার আনতে গিয়েও পাইনি।
Share this content: