গোপন আর্থিক আঁতাত? পানামা তালিকায় পুতিন, শিনফিং, মেসি, বচ্চন!

এবিএনএ : দুনিয়ার অ(সৎ) কি এক হয়ে গেলেন, অন্তত একটা ব্যাপারে?
আয়কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে নামে ও বেনামে কোম্পানি খুলে কালো টাকা জমানোর ‘বস্তুবাদে’ কারই-বা আস্থা নেই?
তাতে যেমন আগ্রহ রয়েছে চিনের কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্টের, তেমনই এ ব্যাপারে আগ্রহে ঘাটতি নেই ঘোর কমিউনিস্ট-বিদ্বেষী রুশ প্রেসিডেন্টেরও! যার ওপর ভরসা রাখেন আমেরিকার ‘কাছের লোক’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আস্থা রাখেন বলিউডের মেগা স্টার অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বর্যা রাই আর ফুটবলার লিওনেল মেসিও। এই ‘বস্তুবাদে’ অন্তত কোনও ‘দ্বন্দ্ব’ নেই!
কালো টাকা জমানোর নেশা ভূগোলের সব বেড়ি-বাঁধনকেই কি তা হলে ভেঙে দিল?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্র সহ বিশ্বের একশোটিরও বেশি সংবাদ মাধ্যমের চালানো ওই যৌথ তদন্তে উঠে এসেছে ওই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সেই তদন্তে দেখা গিয়েছে, নামে-বেনামে ওই রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনীতিক, শিল্পপতি, ফুটবলার, ফিল্ম স্টার সহ সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিরা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিদেশে কালো টাকা জমিয়ে চলেছেন। নামে ও বেনামে একের পর এক খুলে চলেছেন বেআইনি কোম্পানি। আর দিয়ে চলেছেন আয়কর ফাঁকি। এই ‘বস্তুবাদে’ আস্থা রয়েছে কম করে ৫০০ জন বিশিষ্ট ভারতীয়ের। আর নাম রয়েছে বিশ্বের অন্তত ১৪০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রথম সারির রাজনীতিকের।
তবে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন মূলত দু’জন। যাঁদের এক জনের রাজনীতি ‘বস্তুবাদে’র পক্ষে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। অন্য জন রাজনীতিতে রয়েছেন একেবারেই তাঁর বিপরীত মেরুতে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ওই তদন্ত জানাচ্ছে, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের বেআইনি সম্পত্তির রা্শ টানতে হালের দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানের ‘হোতা’ প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বেশ কয়েকটি ‘বেআইনি’ সংস্থার হদিশ মিলেছে বিদেশে। সে ক্ষেত্রে অনেক ‘সাবধানী’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তদন্তে যাঁর নাম উঠে এসেছে তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের ‘ডান হাত’। যিনি ‘বাঁ হাতে’ অন্তত দু’শো কোটি ডলার পাচার করেছেন বিদেশে। আর সেই ব্ল্যাক মানি হয় রেখেছেন কোনও বিদেশি ব্যাঙ্কে। না হলে তার একাংশ ব্যবহার করেছেন কোনও বেআইনি কোম্পানি খুলতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আত্মীয়ের নামে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অন্তত চারটি বেআইনি সংস্থা।
Share this content: