
এবিএনএ : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে জনগণ আর অপেক্ষা করবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং শেখ হাসিনার পতন একসাথে সংঘটিত হবে।’ আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিহীন জাতীয় নির্বাচন আর এদেশে অনুষ্ঠিত হবে না, জনগণ তা হতে দেবে না। আর বেশি সময় নেই, আপনাদের সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই-এই মুহুর্তে সর্বপ্রথম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর তা না হলে জনগণ আর অপেক্ষা করবে না। নইলে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং শেখ হাসিনার পতন একসাথে সংঘটিত হবে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘যেকোনো ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের কাছে সরকার যেভাবে মাথানত করেছে তাতে যুবক, যুবতী, তরুণ-তরুণীসহ সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে পাওয়া, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ন্যায্য আন্দোলনও বৃথা যাবে না। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সেই আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হবেই।’ দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনের বিজয় অতি সন্নিকটে। চক্রান্ত করে বন্দুকের জোরে মানুষের অধিকারকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’
রিজভী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষ সরকার ঘোষিত ১০ টাকা কেজির চাল নিতে গেলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়। কুড়িগ্রামের ঘটনা ৭৪’র দুর্ভিক্ষেরই আলামত। বিশ্বের কোথাও ক্ষুধার্ত মানুষকে নিয়ে এতো নির্মমতা নজীরবিহীন। এরা এত নিষ্ঠুর যে ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করতেও দ্বিধা করে না।’ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ নেত্রকোণায় ১৩০ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রিজভী। এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
Share this content: