
এ বি এন এ : সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার খাদিজা বেগমের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রেজাউস সাত্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন।
আজ বুধবার চিকিৎসক রেজাউস সাত্তার বলেন, খাদিজার শারীরিক পরিস্থিতি আগের মতোই গুরুতর অবস্থায় আছে। তাঁর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন। মাথায় কোপের কারণে তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে তিনি জানান।
গতকাল মঙ্গলবার খাদিজার দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার হয় স্কয়ার হাসপাতালে। তখন চিকিৎসক রেজাউস সাত্তার বলেছিলেন, ‘আমরা খুব সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে রিসিভ করেছি। এখন ইলেকটিভ ভেন্টিলেশনে আছেন (লাইফ সাপোর্ট)। তাঁর মাথায় ও দুই হাতে অসংখ্য কোপের ক্ষত। খুব জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে খাদিজার। এ ধরনের রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫ শতাংশ। ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
কলেজছাত্র ও স্থানীয় জনতা রক্তাক্ত খাদিজাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে গত সোমবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেন স্বজনেরা। গতকাল সকালে তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত বদরুল পুলিশ পাহারায় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ঘটনার দিন দুপুর থেকেই তিনি খাদিজার বাড়ি ফেরার পথে অপেক্ষা করছিলেন।
হামলার ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস গতকাল হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বদরুলের বিরুদ্ধে সিলেটের শাহপরান থানায় মামলা করেন। শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি বলেন, এ মামলায় বদরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। হামলার কারণ জানতে তদন্ত চলছে। হামলায় ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্কুলছাত্রী কণিকা ঘোষ, ঢাকার সুরাইয়া আক্তার রিসা ও মাদারীপুরের নিতু মণ্ডলের পর খাদিজার ওপর বখাটে ও উত্ত্যক্তকারীর একই ধরনের হামলার ঘটনায় উৎকণ্ঠা বেড়েছে সারা দেশে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, অপরাধীদের বিচার না হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা বাড়ছে।
Share this content: