
এবিএনএ: ক্লাব ব্যবসার আড়ালে জুয়া ও অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে অঢেল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে এমন অন্তত ২০ জনের নামের তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে এসেছে। ইতোমধ্যে এদের সম্পদের অনুসন্ধানও শুরু হয়েছে। সোমবার রাজধানীর সেগুন বাচিগায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
প্রসঙ্গত, যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার ক্ষোভ প্রকাশের চার দিনের মাথায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ওই দিনই গুলশানের বাসা থেকে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র আইন, অবৈধভাবে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে গুলশান ও মতিঝিল থানায় চারটি মামলা করা হয়।
শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় জি কে শামীম ও খালেদের অবৈধ আয়ের ভাগীদার ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববারভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার ক্যাসিনো ব্যবসার ভাগীদার এনামুল হক আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্লাবপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসর ও ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। এই দুজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
Share this content: