আইন ও আদালতবাংলাদেশ

কারাগারে আরাফাত সানি

এবিএনএ : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড শেষে আরাফাত সানিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে আসামিকে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন যা যাচাই-বাছাই চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় আরাফাত সানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে নাসরিন সুলতানা নামে এক তরুণী মামলা করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা ওই মামলায় আরাফাত সানিকে আমিনবাজার এলাকা থেকে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর উভয়ের পরিবারকে অবহিত না করে সানির সঙ্গে তিনি গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে না নিয়ে আরাফাত সানি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এমনকি তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দিলেও সানি তাতে কান দেননি।

ওই তরুণীর অভিযোগ, গত ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে সানি তার নাম ব্যবহার করে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ওই আইডি দিয়ে তরুণীর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও একক ছবি ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে ওই তরুণীকে নানারকম হুমকি দিতে থাকেন। পরে আরাফাত সানির বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ওই তরুণী।

গতকাল সোমবার কাবিননামা দাখিল করে আরাফাত সানির বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন নাসরিন সুলতানা। কিন্তু রিমান্ডে নাসরিনের আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন আরাফাত সানি। জাতীয় দলের এ তারকা ক্রিকেটার দাবি করেন, তিনি কাউকে বিয়ে করেননি। কাউকে কোনো আপত্তিকর ছবিও পাঠাননি।

এদিকে কাবিননামার কপিটি ইতোমধ্যে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। কারণ, কাবিননামায় উল্লেখিত কাজী আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাবিননামাটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কাবিননামায় তার অফিসের ঠিকানা হিসেবে দেওয়া আছে- ২০/বি, মেরাদিয়া, থানা: খিলগাঁও, জেলা: ঢাকা। কিন্তু আদতে আনোয়ার হোসেনের অফিস খিলগাঁও হলেও এই ঠিকানার ধারে কাছে নয়। অনুসন্ধানে দেখে গেছে যে, উল্লেখিত ঠিকানায় কোনো কাজী অফিস নেই। আশেপাশে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ঠিকানায় কখনই কোনো কাজী অফিস ছিল না। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্যটি হল, কাবিননামার কপিটি দেখে আনোয়ার হোসেন সাক্ষর ও সীলমোহর তার নয় বলে জানিয়েছেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button