আমেরিকালিড নিউজ

এবার ট্রাম্পের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রীর পদত্যাগ

এবিএনএ: যুক্তরাষ্ট্রে এবার ট্রাম্প প্রশাসনের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী কার্সজেন নিয়েলসেন পদত্যাগ করেছেন। এক বছর চার মাস দায়িত্ব পালনের পর রোববার পদত্যাগ করেন তিনি। ২০১৭ সালে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু বিতর্কিত সীমান্ত নীতি বাস্তবায়নে কাজ করেছেন নিয়েলসেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও বর্ডার প্রটেকশন কমিশনার কেভিন ম্যাকলিনানকে ভারপ্রাপ্ত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।

পদত্যাগের পর নিয়েলসেন বলেন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব সামলানো ‘আজীবন সম্মানের’। তবে কী কারণে পদত্যাগ করলেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। এদিকে মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই নিয়েলসেনকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। পদত্যাগের পর নিয়েলসেন আরো বলেন যে, ‘সরে যাওয়ার এটিই উপযুক্ত সময় এবং আমি যখন ট্রাম্প প্রশাসনে যোগদান করি, যুক্তরাষ্ট্র এখন তার চেয়ে নিরাপদ।’ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে. যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেছেন নিয়েলসেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত কর্মকর্তারা গত মাসে দক্ষিণের সীমান্তে এক লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী আটক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। অভিবাসন প্রত্যাশীদের এ সংখ্যা বৃদ্ধিতে ট্রাম্প খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভাদরের আর্থিক সহায়তা কর্তনের ঘোষণা দেন। ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য এ হুমকি থেকে সরে এসে সে দেশের আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন তিনি।

মার্কিন প্রশাসনের আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছরের শেষ দিকে নিয়েলসনের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। নিয়েলসনকে বাদ দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের কাছে সুপারিশও করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও মেক্সিকো সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন।  সম্প্রতি ট্রাম্প টুইটারে বলেছেন, ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিয়েশ্চেন নিয়েলসেন পদত্যাগ করছেন এবং আমি তাকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

Share this content:

Related Articles

Back to top button