আমেরিকালিড নিউজ

উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে গর্ববোধ করবো: ট্রাম্প

এবিএনএ : চলমান মার্কিন-উত্তর কোরিয়া যুদ্ধাবস্থা উত্তেজনা স্বত্বেও কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে গর্ববোধ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তার (উন) সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটা উপযুক্ত হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে আমি তা করব। আর সেটা হবে আমার জন্য গর্বের বিষয়।’
এর আগেরদিন রবিবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে দেয়া অপর সাক্ষাৎকারে কিমকে অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ বা ‘প্রিটি স্মার্ট কুকি’ হিসেবে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বেড়ে উঠা উত্তেজনা মধ্যেই ট্রাম্প এসব কথা বলেছেন।
ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের পর হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই দুই নেতার সাক্ষাতের পূর্বে উত্তর কোরিয়াকে অবশ্যই কতগুলো শর্ত পালন করতে হবে। এছাড়া মার্কিন মুখপাত্র শন স্পাইসার বলেছেন, ওয়াশিংটন অবিলম্বে উত্তর কোরিয়ার উত্তেজন আচরণের শেষ দেখতে চায়।
এর আগে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও উত্তর কোরিয়ার ফের ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরও দেশটির বিরুদ্ধে কোনো ধরণের সামরিক পদক্ষেপ নিতে অনীহা দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের। সিবিএসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাস্পের কথায়।
উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘ছোট ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। তবে উত্তর কোরিয়ার পুনরায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরবর্তী মার্কিন প্রতিক্রিয়া কি হবে, ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জন ডিকেনসনের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না, মানে- আমি দেখছি বেপারটা।’
এছাড়া ওই সময় উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং উনের প্রশংসাও করেন ট্রাম্প। উনকে বুদ্ধিমান মানুষ উল্লেখ করে ট্রাম্প আরো বলেন, কিছু ‘শক্তিমান লোকের’ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন ছাড়াও এই তরুণ বয়সে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে কিম বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। সাম্প্রতিক উত্তর কেরিয়া-মার্কিন পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে বেড়ে উঠা চাপা উত্তেজনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প আরো বলেন, কিম নিজের ইচ্ছাতেই এসব করছে কিনা সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় আসার দুই বছর পর আপন চাচার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন কিম। তাছাড়া, মালয়েশিয়ায় নিজের সৎ ভাইকে হত্যা কিমের নির্দেশেই হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিম সম্পর্কে কেমন ধারণা পোষণ করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষ বলছে, তার বিবেক আছে কি? তবে আমি মনে করি নেই। বাবা মারা যাওয়ার পর সে ২৬-২৭ বছরের যুবক ছিলো। তারপরও সে দেশটির ক্ষমতাবান জেনারেল ও অন্যান্য শক্তিশালী মানুষদের খুব ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে।’ বিবিসি ও সিএনএন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button