জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

অনশনকারীদের কিছু হলে দায় প্রশাসনের: ভিপি নূর

এবিএনএ: ডাকসুতে পুনর্নির্বাচন, রোকেয়া হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ বেশ কিছু দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও রোকেয়া হলের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার হুমকিতে আছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূর। বৃহস্পতিবার দুপুরে অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করে এসব কথা বলেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নূর।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। এতে ২৫টি পদের মধ্যে দুটি ছাড়া সব পদে জয় পায় ছাত্রলীগ। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোটের দিনই নির্বাচন বর্জন করে ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল। নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে ভোটের পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসে চার শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও দুইজন।

অনশনকারীদের দাবি, শিক্ষকদের সহযোগিতায় ডাকসু ও হল সংসদে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তারা আবারও নির্বাচন চান। পরদিন বুধবার রাত নয়টার দিকে কারচুপির অভিযোগে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন, হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন হলের পাঁচ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে চারজন বিভিন্ন প্যানেল থেকে হল সংসদে প্রার্থী ছিলেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হেনস্তা করেছেন অনশনকারী ছাত্রীরা অভিযোগ করেন। ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর অভিযোগ করেন, অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত হল বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ দেখা করেনি। তারা নিরাপত্তার হুমকিতেও ভুগছেন। তাদের কিছু হলে এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে। এ সময় রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে বলেও মন্তব্য নূর। বলেন, রোকেয়া হলের নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে। সে হিসেবে প্রভোস্ট হিসেবে থাকার নৈতিক অধিকার নেই।

নতুন করে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে নূর বলেন, ‘১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট কারচুপি হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ফলাফল মানে না। পুনঃতফসিল ঘোষণা করে নতুন করে নির্বাচন চাই সবাই। তাদের দাবিগুলো যত দ্রুত সম্ভব মেনে নিতেও ঢাবি প্রশাসনের অনুরোধ জানান তিনি।’

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button