ওজন কমাতে মাছ ভালো না মুরগি? জানুন পুষ্টিবিদদের পরামর্শে কোনটি কার্যকর
ওজন কমাতে চাইলে মাছ না মুরগি—দুইয়ের মধ্যে কোনটি খাবেন? পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার ধরন এবং পুষ্টিগুণই ঠিক করে দেবে কোনটি উপকারী


এবিএনএ: ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে মাছ ও মুরগির মাংস—দুই খাবারই শরীরের জন্য উপকারী হলেও পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কোনটি কতটা কার্যকর, তা নির্ভর করে খাওয়ার ধরন এবং খাদ্যের গুণগত মানের ওপর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতে চাইলে চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে প্রোটিনভিত্তিক খাবার খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। মাছ এবং মুরগির মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে এবং পেশি গঠনে সহায়তা করে।
মাছ খাওয়ার উপকারিতা:
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছ খেলে দ্রুত পেট ভরে যায় এবং এতে ক্যালোরির পরিমাণও কম। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদ্যন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। যারা হজমে সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্যও মাছ বেশ সহায়ক। ‘নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, শুধুমাত্র মাছ খাওয়া ব্যক্তিরা আট সপ্তাহে তুলনামূলকভাবে বেশি ওজন কমিয়েছেন।
তবে পুষ্টিবিদরা সতর্ক করে বলেন, শুকনো মাছ এড়িয়ে চলাই ভালো কারণ এতে ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে। যারা ওজন বাড়াতে চান, তারা শুকনো মাছ খেতে পারেন।
মুরগির উপকারিতা ও সতর্কতা:
মুরগির মাংসেও রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। তবে রান্নার পদ্ধতিতে সচেতন না হলে তা উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে। ডোবা তেলে ভাজা ফ্রায়েড চিকেন নয়, বরং গ্রিলড, সিদ্ধ বা স্টু ধরনের মুরগি খাওয়া উচিত। এ ধরনের খাবার ওজন কমাতে কার্যকর।
পুষ্টিবিদদের মতে, শুধুমাত্র খাবার বেছে নেওয়াই যথেষ্ট নয়, রান্নার ধরন ও পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। অতিরিক্ত তেল-মসলা ব্যবহার করে খাওয়া হলে স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকটাই হারিয়ে যায়।
শেষ কথা:
ওজন কমাতে মাছ এবং মুরগির মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার আগে ভাবতে হবে আপনি কীভাবে রান্না করছেন এবং কোন অংশটি খাচ্ছেন। প্রোটিন প্রাধান্য দিন, চর্বিযুক্ত অংশ এড়িয়ে চলুন। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ যেমন সম্ভব হবে, তেমনই স্বাস্থ্যও থাকবে সুরক্ষিত।