‘খামেনির প্রাণ বাঁচালেও ধন্যবাদ পেলাম না’—আবারও হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে ‘লজ্জাজনক মৃত্যু’ থেকে বাঁচানোর দাবি করে ট্রাম্প বললেন, পারমাণবিক কর্মসূচি চালালে ফের হামলার নির্দেশ দেবেন


এবিএনএ: আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার দাবি করে, তাঁর কাছ থেকে ধন্যবাদ না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, ইরান যদি আবারও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোয়, তবে তিনি নতুন করে সামরিক হামলার নির্দেশ দেবেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Truth Social-এ দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “আমি খামেনিকে অপমানজনক ও ভয়ঙ্কর এক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি। অথচ তিনি আমাকে ধন্যবাদও জানাননি।” তাঁর এই মন্তব্যের সূত্রপাত ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সেই দাবির পর, যেখানে খামেনি বলেন—ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান বিজয়ী হয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার সময় খামেনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তা তাঁর জানা ছিল। এমনকি তিনি সেই সময় খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনাও ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন।
তবে খামেনির যুদ্ধজয়ের দাবিকে “মিথ্যা ও শিশুসুলভ” আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এত বড় জুটির বিরুদ্ধেও যদি ইরান নিজেকে জয়ী ভাবে, সেটা একমাত্র প্রপাগান্ডা।”
অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে “অশালীন ও রাজনৈতিকভাবে দুরভিসন্ধিমূলক” আখ্যা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বলেন, “ট্রাম্প যদি সত্যিই চুক্তি করতে চান, তাহলে তাঁকে খামেনির প্রতি অপমানজনক শব্দচয়ন বন্ধ করতে হবে এবং তাঁর কোটি অনুসারীর অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।”
এর আগে জুন মাসে ইসরায়েল ইরানে সারপ্রাইজ হামলা চালায়, যার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। টানা ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
এই সময় জুড়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার খবরও বারবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে ওঠে। এমন প্রেক্ষাপটেই খামেনির ‘উদ্ধারকারী’ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছেন ট্রাম্প, যিনি আবারও পারমাণবিক ইস্যুতে যুদ্ধের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন।