জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের সাহসী ভূমিকার সম্মাননা, শাহবাগে মশাল মিছিল
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের সাহসী ভূমিকার সম্মাননা, শাহবাগে মশাল মিছিল


এবিএনএ: ১৯ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সাহসী ভূমিকা স্মরণে রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী সংহতির মশাল মিছিল ও সমাবেশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের বলিষ্ঠ উপস্থিতি আন্দোলনের গতি ও চেহারা বদলে দিয়েছিল।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারী সংহতির সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামলী শীল। তিনি বলেন, “ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং নারী বিদ্বেষ এখনো উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “নারী প্রশ্নকে সামনে রেখে একটিমাত্র রাজনৈতিক শক্তি এ লড়াইকে এগিয়ে নিতে পারবে না, দরকার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।”
নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ বলেন, “জুলাইয়ে নারীদের রাস্তায় নেমে সাহসিকতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণ স্বৈরাচার বিরোধী লড়াইকে নতুন মাত্রা দেয়। রাতের শহরে নারীদের দখলই আন্দোলনের চেহারা বদলে দেয়।”
সহ-সাধারণ সম্পাদক রেবেকা নীলা ১৩৫ শিশু ও ১১ নারী শহীদের নাম পাঠ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদদের হত্যার বিচার ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবি তোলেন।
বক্তব্য রাখেন গ্রন্থ প্রবর্তনার পরিচালক সীমা দাস সামু, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সাইদিয়া গুলরুখ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিন্নাত আরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রুপসী চাকমা, মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের মামাচিং মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অমল ত্রিপুরা এবং অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি।
বক্তারা বলেন, ২০২৫ সালে এসেও নারীদের জন্য নিরাপদ সমাজ গড়ে ওঠেনি। শিক্ষাঙ্গনে নিষেধাজ্ঞা, সহিংসতা ও বৈষম্য বন্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে হবে।
সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মশাল মিছিলটি শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে আবার শাহবাগেই এসে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও মশাল হাতে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্লোগান দেন।