জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

বাংলাদেশ-রাশিয়া আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিশন গঠনে চুক্তি

এবিএনএ : বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিশন গঠনে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তি দু’দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি সম্পর্ক বহুমুখী করায় সহায়ক হবে। পাশাপাশি, পারস্পরিক বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং তথ্যের আদান-প্রদানেও চুক্তিটি সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং রাশিয়ার পক্ষে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক উপমন্ত্রী আলেক্সি গ্রুসদেভ চুক্তিতে সই করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও ঢাকায় রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাটভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই চুক্তি সই করার লক্ষ্য হলো বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিশন বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্দেশনা এবং অগ্রাধিকার ক্ষেত্র চিহ্নিত করবে। এই কমিশন দু’দেশের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বহুমুখী করায় সহায়তা করবে। এটি বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি সহায়তার ধরন বিশ্লেষণ করবে। বিশেষ করে অধিক সম্ভাবনাময় কৃষি, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, শিক্ষা খাতে নির্দেশনা সংজ্ঞায়িত করবে। কমিশন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী, জ্ঞানের বিনিময় এবং অপরাপর ক্ষেত্রেও সহায়তা সংক্রান্ত নির্দেশনা চিহ্নিত করবে।
এদিকে, ঢাকায় রুশ দূতাবাসের পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে বৃহত্তর সহযোগিতা উন্নয়ন ঘটানো এই কমিশন গঠনের লক্ষ্য। এটি দু’দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, বাণিজ্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক বাধা দূর করা এবং দু’ পক্ষের মধ্যে তথ্যের বিনিময়ে এই কমিশন কাজ করবে।
আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিশনের কাঠামো সম্পর্কে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উভয়পক্ষ কমিশনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্যে কো-চেয়ার, উপ কো-চেয়ার এবং নির্বাহী সচিব নিয়োগ করবে। কো-চেয়ারদের যৌথ সিদ্ধান্তে কমিশনের কাঠামোর মধ্যে কোনো কোনো সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে স্থায়ী কিংবা এডহক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যাবে। কমিশনের প্রত্যেক পক্ষের জাতীয় অংশে সদস্য সংখ্যা ২০ জনের বেশি হবে না। কমিশন প্রতি বছর পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ও রাশিয়ায় কমপক্ষে একবার বৈঠকে মিলিত হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে খুবই ভাল সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করছে রাশিয়া। এছাড়াও, রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ক্রয় করে থাকে বাংলাদেশ।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button